ভরদুপুরে ইসিএল এর গাড়ির ধাক্কায় মৃত‍্যু হল প্রাক্তন রেল কর্মীর

4th April 2021 2:09 pm বাঁকুড়া
ভরদুপুরে ইসিএল এর গাড়ির ধাক্কায় মৃত‍্যু হল প্রাক্তন রেল কর্মীর


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ভরদুপুরে ইসিএলের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হলো এক প্রাক্তন রেল কর্মীর। মৃতের নাম মাখন মুর্ম্মু (৭০)। গুরুতর আহত তাঁর স্ত্রী মালতি মুর্ম্মু। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের এন.এইচ-৬০-র উপর লাইট হাউস মোড়ে।
 
     স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন তালডাংরার উপরশোল গ্রামের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মী মাখন মুর্ম্মু একটি বাইকে স্ত্রী মালতি মুর্ম্মুকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুপুর থেকে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় এন.এইচ মেদিনীপুর দিক থেকে আসা 'অন ডিউটি ইসিএল' লেখা একটি বোলারো গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। এমনকি পরে রাস্তার পাশে থাকা একটি সাবমার্শিবেলেও সজোরে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মাখন মুর্ম্মুর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। পুলিশ আহত মালতি মুর্ম্মুকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠায়। অন্যদিকে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই 'ঘাতক' বোলারোর চালক সহ অন্যান্য যাত্রীরা চম্পট দিয়েছেন। পুলিশ বোলারোটি আটক করেছে।

   ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মালা কর্মকার বলেন, এই চৌরাস্তার মোড়ে প্রায়শই ছোটো বড় দূর্ঘটনা ঘটে। এদিনও তাই ঘটেছে। অবিলম্বে ব্যস্ততম এই এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যাল ও সিভিক ভল্যান্টিয়ার নিয়োগের দাবি তিনি জানান।

  পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত ও মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।